প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপাই

 

প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপাই জানতে চান তাহলে এই ছোট্ট আর্টিকেল টি আপনার জন্য, মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা  বা তারও বেশি টাকা আয় করার যে ব্যবসা ও তার পদ্ধতি আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো । তাও আবার অল্প  অর্থ ব্যয় করেই, তাহলে জেনে নিন সহজে আয় করার কিছু উপাই 

৫০-হাজার-টাকা-ইনভেস্ট-করে-প্রতি-মাসে-৩০-হাজার-টাকা-আয়-করুন

আপনি যদি আমার দেখানো দির্দেশনা মেনে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি প্রতি দিন প্রায় ১ হাজার টাকা এবং মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। চলুন সেই পদ্ধতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।

পেজ সূচিপত্রঃ ৫০ হাজার দিয়ে যে ব্যবসা করলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা সহজে আয় করার যায়, চলুন জেনে আসি সেই ব্যবসা গুলো , এবং কিভাবে করবেন ।

চটপটি, ফুসকা ও হাঁলিম  বিক্রি করে আয়

চটপটি ও ফুসকার নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে, আর এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়, প্রায় সবাই এই চটপটি ফুসকা খেতে পছন্দ করে এগুলো হলো মুখোরচক জিনিস, চটপটি ফুসকা বিক্রির পাশাপাশি হাঁলিম ও একটি সুস্বাদু খাবার আর এই চটপটি ফুসকা ও হাঁলিম অনেক বড়লোকেরা খেয়ে থাকে অনেক, রেস্টুরেন্টে গিয়ে, সেই সব জিনিস যদি সাধারণ মানুষের সামনে বিক্রি করা হয় তাহলে অনেক বিক্রি হবে

আরো পড়ুনঃ অর্ডিনারি আইটির ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন

আর এগুলো চটপটি ফুসকা ও হাঁলিম  সব চেয়ে বেশি পছন্দ করে, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, অতি কম করচে ঘরে বসে চটপটির ও ফুসকা সামুগ্রি তৈরি করা যায়, সেই চটপটি বাজারে বা স্কুল কলেজ রাস্তার মোড়ে অনেক পরিমান বিক্রি হয়,  চটপটি তৈরি করার জন্য ডালের ব্যবহার করা হয়, এই ডাল পানিতে ভিজিয়ে ডালকে সেদ্ধো করে তাতে মসলা ব্যাহার করে  চটপটি  তৈরি করা হয়.

বাজারে ফুসকা তৈরির জন্য আঁটা বা ময়দা দিয়ে ফুসকা তৈরির জিনিস পাওয়া যায় এগুলো বাড়িতে তেলে ভাজলে বড় বড় গোল গোল ফুসকা নামক জিনিস কৈরি হয়, সেই ফুসকা গুলো মানুষের মাঝে আলু ভত্তা বা সেই চটপটি দিয়ে তার সাথে শশার সালাত এবং টক দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন তাও অনেক বেশি পরিমাণের, আপনি মানুষকে সুস্বাদু করে তৈরি করে দিবেন, এবং মানুষেরা তৃপ্তি করে খাবেন।

বারগার বিক্রি করে আয়

আমাদের দেশে বারগার অনেক জনপ্রিয় একটি ফাসফুট খাবার, আগে যখন বারগারে নাম শুনতাম তখন মনে হতো এগুলো মনে হয় বড় লোকের খাবার, আর এই খাবার প্রায় সবাই পছন্দ করে, এবং প্রচুর পরিমানে খায় মানুষেরা, এই বারগার তৈরি করার জন্য প্রথমত পাওরুটি ব্যবহার করা হয়,

এই পাওরুটি  টি প্রথমে মদ্ধে দিয়ে কেটে দু ভাগ করে তাতে মিস্টি সস এবং মুরগির মাংসের কিছু টুকরা দিয়ে, শিক দিয়ে তৈরি কৃত চুলায় সেই পাওরুটি টি গরম করা হয়, এবং এই পদ্ধতিতে বারগার বানানো হয় এবং  এটি খেতে অনেক সুস্বাদু 

ঝালামুড়ি বিক্রি করে আয় 

আমরা ছোট বড় বয়সকো  সব শ্রেণির মানুষেরা ঝালমুড়ি  খেতে  পছন্দ করি, এটি একটি মানুষের কাছে মুখোরচক খাদ্য,  এই ঝালমুড়ি  বিক্রি করে প্রতি দিন ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন,  এই ঝালমুড়ি সবচেয়ে বিক্রি হবে স্কুর ও কলেজের সামনে এবং এই ঝালমুড়ি তৈরি করতে

প্রথমত বাড়িতে অ্যালাচ দারচিনি ধনিয়া গুড়া এবং সরিসার তেল দিয়ে মিশিয়ে ভালো ভাবে মসলা তেল তৈরি করতে হবে ঝালমুড়ি মাখানোর জন্য, ঝালমুড়ি মাখাতে সিদ্ধ ছোলা বুট দিতে হয়, আর এই ছোলা বুট বাড়িতে অতি সহজে তৈরি করা যায়, সিদ্ধ ছোলা বুট তৈরি করার জন্য

কাঁচা ছোলা বুটকে ভিজিয়ে রেখে তারপরে সেই ছোলাবুটটিকে সিদ্ধ করে নিলেই সিদ্ধ ছোলাবুট তৈরি হয়ে যাবে, তারপরে সেই তৈরি কৃত তেল সিদ্ধ ছোলাবুট এবং তার সাথে শশার সালাত দিয়ে মুড়ি মাখালে অনেক অনেক পরিমাণ স্বাদ হবে সেই ঝালমুড়ি, এই ঝালমুড়ি বিক্রি করে প্রতি দিন ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

চিনির হাওয়ায় মিঠা বিক্রি করে আয় 

আমরা সবাই এই চিনির হাওয়ায় মিঠার নাম শুনেছি  আমরা আগে এই মিঠাকে জাদুর হাওয়ায় মিঠা বলতাম, তার কারণ হলো - এই হাওয়ায় মিঠা মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যেতো, ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা গুলো এই হাওয়ায় মিঠা অনেক পছন্দ করে, আর এই হাওয়ায় মিঠা তৈরি করার জন্য,

একটি ছোট মেশিন পাওয়া যায়, সেখানে চিনি দিয়ে মেশিনটি ঘোরালে সেই মেশিন থেকে জালের মতো হয়ে বেড়িয়ে আসে, এই চিনির হাওয়ায় মিঠাতে খাবার উপযুক্ত এক ধরণের রং পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করে অনেক রংঙের হাওয়ায় মিঠা তৈরি করা যায়, হাওয়ায় মিঠা তৈরি করতে বেশি পরিমানে কষ্ট বা খরচ নেই, অতি কম খরচে এই ব্যবসা করা যায় 

শেষের কিছু গুরুত্ব পূর্ণ কথা 

৫০ হাজার টাকা দিয়ে যে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় সেই উপায় বা সেই ব্যবসা সম্পর্কে  আলোচনা করা হলো। যদি আপনি ও বেশি অর্থ আয় করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকলেটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে,  আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পড়েছন,  

এই আর্টিকেল টি পড়ে বেশ কয়েকটি ব্যবসার নাম এবং সেই ব্যবসা কিভাবে করবেন  সেই উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেনআপনি যদি কম খরচে বেশি টাকা আয় করতে চান তাহলে উপরে আর্টিকেলে দেখানো সেই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করেন,

এবং সততার সাথে এই কয়েকটি ব্যবসা কন্টিনিউ করেন তাহলে আশা করি আপনি দ্রুত উপার্জন করতে পারবেন। পরিশেষে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে  চাই যে, আপনার মূল্যবাদ সময় আমাদের দেওয়ার জন্য।  

  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url