নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার কার্যকারিতা
নিম পাতার ব্যবহার ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানেন, কিছু মানুষ আছে যারা এই পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় জানেনা, কোন কোন রোগের জন্য নিম পাতা কার্যকরী তা বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল টি ভালোভাবে পড়ুন,
তাহলে নিম পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন নিমপাতা কি কি কাজে
ব্যবহার করবেন কেন ব্যবহার করবেন ব্যবহার করলে কি কি উপকার হবে তা ভালোভাবে
নিচে বর্ণনা করেছি।
পেজ সূচিপত্রঃ নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতা কি কি রোগের জন্য ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন
- নিম পাতার ব্যবহার
- এলার্জিতে নিম পাতা
- চুলকানিতে নিম পাতা
- চুলের যত্নে নিম পাতা
- মুখের ব্রনের জন্য নিম পাতা
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতা
- রূপচর্চায় নিম পাতা
- চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- শেষের কিছু কথা
নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার ব্যবহার ও গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না, নিম গাছ এটি একটি ঔষধি
গাছ। এই নিম পাতার গুণের কথা বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 21 শতকের বৃক্ষ
বলে ঘোষণা করেছেন এবংবিজ্ঞানিরা বলেছেন যে প্রাচীন যুগের আমলে মানুষ রোগ থেকে
রক্ষা পাওয়ার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করতো, মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে
মুক্তি লাভ করে,
নিম পাতার নিয়মিত ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার
করবেন নিম পাতা ব্যবহার করলে কি কি উপকার পাবেন তা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা
হলো এই নিম পাতা ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবেন বাড়ির
আশেপাশে নিমের গাছ থাকলে সেই নিমের গাছ
অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায় আমরা অনেকেই জানিনা যে কোন কোন রোগের
জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা যায়, নিম পাতার যদি চুলকানিতে ঘাঁয়ে পেটের সমস্যার
জন্য বা জ্বরের জন্য চুল পড়া খুশকি নাশক ও দাঁতের সমস্যা চোখে চুলকানি ঠান্ডা
জনিত সমস্যা রক্ত পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন কাজে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়।
এলার্জিতে নিম পাতা
মানুষের শরীরে বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য ও খাদ্যের সমস্যার জন্য এলার্জির সমস্যা হয়
এ এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন
করেন কিন্তু এই এলার্জির সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান হয় না, বারবার এই এলার্জির
সমস্যা নিয়ে মানুষ অত্যন্ত কষ্টে ভোগে থাকে এই এলার্জির সমস্যা সমাধানের জন্য
নিম পাতার ব্যবহার ও কার্যকারিতা অপরিসীম,যদি কোন মানুষের এলার্জির সমস্যা থেকে
থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন পর পর নিম পাতা তার সঙ্গে
বাঁশের পাতা একটু লবণ পানিতে মিশে গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে সেই ব্যক্তির
এলার্জির সমস্যা থেকে রক্ষা পাবে, এই এলার্জির সমস্যার জন্য
মানুষের শরীর চুলকে চুলকে ঘাঁ এর সৃষ্টি হয় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
নিমপাতা বেটে পালিশ করে সেই ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে এলার্জিতে হওয়া ঘাঁ থেকে
মানুষ রক্ষা পাবে, সপ্তাহে তিন থেকে চার বার নিমপাতা বাসের পাতা ও লবণ পানিতে
মিশে ভালোভাবে সিদ্ধ করে সেই পানিটিকে ঠান্ডা করে গোসল করলে এলার্জি সমস্যা থেকে
মুক্তি পাবে।
চুলকানিতে নিম পাতা
মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকমের চুলকানির মত একটি রোগ হয় এটি পানিবাহিতার কারণে
অথবা এলার্জির সমস্যা থেকে হতে পারে মানুষের শরীরের চুলকানির সমস্যা সমাধানের
জন্য অত্যন্ত কার্যকারী ঔষধি গাছ হল নিম গাছ। এই নিমের পাতা ব্যবহার করে খুব সহজে
চুলকানির মত বড় রোগ থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়
আরো পড়ুনঃ
আগের যুগের প্রাচীনকালের মানুষ যদি কোন রোগে আক্রান্ত হতেন যেমন জ্বর জন্ডিস
ম্যালেরিয়া চোখে চুলকানি ইত্যাদি সমস্যার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করতেন এই নিম
পাতা ব্যবহারের ফলে চুলকানির মতো বড় রোগ থেকে রক্ষা পেতেন, আপনার যদি চুলকানির
মত রোগে ভুগে থাকেন তাহলে আপনিও বেশ কয়েকটি নিমপাতা সঙ্গে বাঁশের পাতা
ও তার সাথে একটু লবণ পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিন সেই পানি ঠান্ডা করে
সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার নিয়মিত গোসল করুন চুলকানি থেকে রেহাই পেতে নিমের পাতা
ভালোভাবে ধুয়ে পিছে চুলকানির স্থানে লাগিয়ে দিন দু থেকে তিন দিনের মধ্যে
চুলকানির হাত থেকে আপনি রক্ষা পাবেন এই চুলকানি সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাবে।
চুলের যত্নে নিম পাতা
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে চুল পড়া সমস্যার জন্য কার্যকরী সমাধান হলো নিমের
পাতা, এই চুল পড়ার সমস্যা থেকে স্থায়ী ভাবে সমাধান দিতে পারে নিম পাতা
ব্যবহার করলে, আমাদের চুল বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ে যায় তার মধ্যে সবচেয়ে
বড় সমস্যা হলো চুলে খুশকি হওয়া মাথায় ঘাাঁ হওয়া এগুলো সমস্যার জন্য
আমাদের মাথা থেকে চুল পড়ে যায় বিভিন্ন সময় আমাদের মাথায় ধুলোবালির সাথে
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া চুলের বাসা বাঁধে এই ভাইরা সব ব্যাকটেরিয়া চুলের গোড়ার
পুষ্টিকে নষ্ট করে ও চুলের স্ক্যালপের ক্ষতি করে এতে চুলের গোড়ায় রক্ত
চলাচল এর ব্যাঘাত ঘটায় ফলে হেয়ার লস হয়, এই চুল পড়া থেকে চিরদিনের
জন্য রক্ষা পেতে নিম পাতা ব্যবহার করুন
আরো পড়ুনঃ
চুলে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন - চুল পড়ার সমস্যা থেকে রক্ষা
পেতে নিম পাতার ব্যবহার জেনে নিন, ৩০ থেকে ৩৫ টি নিমপাতা নিয়ে এসে
ভালোভাবে পিষে মালিশ করে মাথা চুলে ব্যবহার করুন ব্যবহার করার সময় দেখবেন
পালিশকৃত নিমের পাতা ভালোভাবে যেন চুলের গোড়ায় পৌঁছায় নিমের পাতায়
যে গুনাগুন আছে তা চুল পড়া থেকে রক্ষা করে এবং চুলের গোড়ায়
পুষ্টি তৈরি করতে সাহায্য করে এবং মাথায় থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস
করে এই চুল পড়া থেকে রক্ষা পেতে নিম পাতার সাথে আপনারা যদি তেলাকচার পাতা এর
সাথে পিষে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাথায় লাগাতে পারেন এবং নিমপাতা সিদ্ধ করবেন
যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই পানি সবুজ বর্ণ আকার ধারণ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত গরম
করে সেই পানি ঠান্ডা করে মাথায় ভালোভাবে দিন এবং পুরো সেই পানিতে
গোসল করুন আপনার চুল পড়ার সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান হয়ে যাবে। প্র্যাকটিক্যালি প্রমাণিত নিম পাতা ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
মুখের ব্রণের জন্য নিম পাতা
ব্রণের দাগছোপ করার জন্য নিম পাতার ব্যবহার করুন এই পাতা ব্যবহারের ফলে মুখের
ব্রণের দাগ ক্ষত ও গর্ত দূর এই সমস্যা গুলো নিয়ে যারা অনেকদিন ধরে ভুগছেন, ও
ভাবছেন যে কিভাবে আগের মত মুখের জেলা ফেরাবো তাহলে জেনে নিন কিভাবে সেই আগের মত
ব্রণহীন দাগ হীন মুখ ফিরে পাবেন।
ব্রণের জন্য নিম পাতা - মুখের ব্রণের দাগ ও ব্রণ থেকে মুখকে রক্ষা
করার জন্য নিমপাতা ব্যবহার করুন কিভাবে করবেন বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন প্রথমত এক
মুঠো নিমপাতা ভালোভাবে বেটে পালিশ করে নিন এবং এর সাথে একটু এলোভেরা মিশিয়ে নিন
ভালোভাবে মেশানোর হয়ে গেলে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন এবং 10 থেকে 15 মিনিট অপেক্ষা
করুন
এরপর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এইভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন
ব্যবহার করুন তাহলে বুঝতে পারবেন এর কার্যকারিতা আপনার মুখের ব্রণ ও ব্রনের দাগকে
চিরতরে নিঃশেষ করে দিবে, এবং ব্রণ এর জন্য মুখ ব্যথা হয়ে থাকে সেই ব্যথা গুলো
থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, আপনি চাইলে মিমের পাতা ভালোভাবে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে
মাধ্যমে ব্লেন্ডার করে গুঁড়ো করে নিতে পারেন
এবং আপনার বিভিন্ন রোগের জন্য সেই নিম পাতার গুড়ো ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন
রোগের জন্য এই নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন যদি আপনার বাড়িতে নিম পাতার
গুড়ো করা থাকে তাহলে যেকোনো সময় মুখের সমস্যা চুলকানির সমস্যা এলার্জি
সমস্যা বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নিম পাতার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতা
তৈলাক্ততার জন্য নিম পাতার ব্যবহার করলে মুখের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য
নিম পাতা ব্যবহার করুন এই পাতা ব্যবহারের ফলে আপনার মুখের যেগুলো সমস্যা
হচ্ছে সব সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন, অনেক মানুষের মুখে
তৈলাক্ততার সমস্যা অনেক বেশি যখন তখন মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায়, আবার
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে মুখে প্রচুর পরিমাণে তৈলক্ত থাকে ও ত্বক
চিটচিটে হয়ে যায়,
আরো পড়ুনঃ
এই তৈলাক্ত তার জন্য মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ বের হয় এবং এই ব্রণের সমস্যার
জন্য মুখ দেখতে বিশ্রী লাগে, ব্রণের সমস্যার জন্য মুখে প্রচুর পরিমাণে
দাগ হয় এই তৈলাত্মক ত্বক রক্ষা করার জন্য নিমপাতা বেটে মুখে লাগিয়ে
নিন পাঁচ থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে
নিন আরো ভালো রেজাল্ট পেতে
নিম পাতার সাথে এলোভেরা একটু লেবু ও গোলাপজল মেশাতে পারেন এগুলো ভালোভাবে
মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিলে এই তৈলাক্তক সমস্যা থেকে রক্ষা
পাবেন, এই নিম পাতা ব্যবহারের ফলে নিমের যে গুনাগুন আছে তা মুখের সমস্ত
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে মুখকে সুরক্ষিত রাখে এবং ত্বককে মসৃণ
রাখে এই নিমপাতা।
রুপ চর্চায় নিম পাতা
রুপ চর্চায় নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, নিম পাতাতে
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান আছে এই নিম পাতা ব্যবহার করে ত্বকের অনেক সমস্যা
দূর করতে বেশ কার্যকরী, মুখের তৈলাক্তক সমস্যা দুর করতে নিমের ফেস প্যাক
তৈরি করে নিয়ে মুখে লাগানোর পরে কিছু সময় রাখার পরে ভালো ভাবে ঠান্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে নিলে মুখের তৈলাক্ততা দূর হয়ে যায়,
ব্রনের জন্য ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যা সমাধাণ করে এই নিম পাতা, নিম পাতা
ব্যবহার করে ত্বকের ইনফেকশন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিফাংগাল
সরাতে এক মুষ্টি নিম পাতা ভালো ভাবে পানিতে গরম করে সবুজ বর্ণ আকার হয়ে গেছে
তার পরে সেই পানি ঠান্ডা করে তার পর গোসল করলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া
অ্যান্টিফাংগার ও ইনফেকশন দুর হয়
ত্বকে লোমের গোড়ায় জীবাণু দুর করে নিম পাতা। রুপ চর্চায় সবচেয়ে বেশি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই নিমপাতা, মুখের কালচে দাগ ব্রনের দাগ
ইত্যাদি দূর করতে নিম পাতা গুড়ো করে পানিতে মিশিয়ে ভালো ভাবে মুখে লাগান, এই
প্যাকটি নিয়মিত লাগালে সেই দাগ গুলো চলে যাবে। মুখের সমস্যা সমাধানের জন্য
মিম পাতার ব্যবহার করুন।
চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা
নিম পাতার ব্যবহার করুন , চর্মরোগ হল পানিবাহিত রোগ এই রোগ গুলো বর্ষাকালে
মানুষের বেশি হয়ে থাকে বর্ষার সময় পানির মাধ্যমে মানুষের শরীরে এই চর্ম
রোগের সৃষ্টি হয় চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে এই রোগ অন্য
মানুষের শরীর আক্রান্ত হতে পারে চর্মরোগ একটি খুবই মারাত্মক রোগ এই রোগ
থেকে রক্ষা পেতে পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় পরিধান করুন
আরো পড়ুনঃ
এবং বর্ষার পানি থেকে যতটা পারেন নিজেকে দূরে রাখুন বর্ষার সময় বিভিন্ন
ব্যাকটেরিয়া পানির সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, এবং এর মাধ্যমে শরীরে
চর্ম রোগ দেখা দেয় এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সবচাইতে ভালো উপায় হলো
নিম পাতা ব্যবহার করা, নিমপাতা চর্ম রোগের জন্য খুবই উপকারী, নিম পাতায়
রয়েছে ঔষধি গুণ এছাড়াও রয়েছে
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়া ও অ্যান্টিফাঙ্গাল যুক্ত গুনাগুন যা
চর্মরোগের মত মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, চর্মরোগ ভালো
করার জন্য একমুস্টি নিমপাতা ভালোভাবে পিসে চর্ম রোগের স্থানে লাগিয়ে
দিন তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে স্বস্তি পাবেন,ও একটু আরাম পাবেন এবং চর্মরোগ থেকে
রেহাই পেতে প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ বার একমুষ্টি নিমপাতা
একমুষ্ঠি বাসের পাতা ও লবণ পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে গরম করে নিন, এবং
সবুজ বর্ণ আকার ধারণ করার পরে সেই পানি ঠান্ডা করে গোসল করুন, তাহলে
চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাবেন। এই সময় সাবান বা কোন ফেসওয়াশ জাতীয় কোন
প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না, এতে আপনার ক্ষতি হতে পারে ও নিয়মিত নিমপাতা
ব্যবহার করুন রোগ মুক্ত থাকুন এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করুন
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত ভাবে বণর্না করা
হয়েছে, আরো অনেক রোগের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা হয়, নিম পাতার
উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না নিম পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়া ও
অ্যান্টিফাঙ্গাল যুক্ত গুনাগুন আছে যা মানুষের জ্বর বুকের ঠান্ডা জনিত রোগ
জন্ডিস ইত্যাদি রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে
নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা - সম্পর্কে জানলে মানুষ প্রতি সপ্তাহে
একবার হলেও নিম পাতার রস খেত এই নিম পাতার রস খেলে পেটের যত রকম সমস্যা আছে
তার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, যদি কোন মানুষের পেটের কিমির সমস্যা হয়
ও পেট ফাঁপা পেট গ্যাসে ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা সমাধানের জন্য নিম
পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
অপরিসীম কেউ যদি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ৪ থেকে ৫ নিমপাতা ভালোভাবে
কিসে রস বের করে তার সঙ্গে হালকা একটু মধু মিশিয়ে খেলে পেটের এই সমস্যাগুলো
থেকে মুক্তি পাবেন, কোন মানুষ যদি এই নিম পাতা সেবন করে, তাহলে তার
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ও দেহে অ্যান্টিবায়োটিক এর মাত্রা
বাড়ায় যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নিম পাতার অপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক
- খালি পেটে বেশি দিন নিম পাতার রস খেলে ক্ষতি হতে পারে তাই দীর্ঘদিন ধরে নিম পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, সমস্যা হলে সপ্তাহে একদিন নিম পাতার রস সেবন করুন
- নিমপাতা খাওয়ার ফলে অনেকেরই বমি বমি ভাব হয় তাহলে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিন নয়তো আপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যদি কারো ডায়রিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিন
- গর্ভবতী মহিলার জন্য নিম পাতা খাওয়া নিষেধ
- মহিলারা যদি প্রতি দিন নিম পাতার রস খায়, তাহলে বন্ধাত্বের মতো বড় সমস্যার কারণ হতে পারে, যে মহিলারা সন্তান নিতে চান তারা নিম পাতা খওয়া থেকে বরিত থাকুন, নিম পাতা না খেয়ে, নিম পাতা দিয়ে গোসল করুন তাহলে উপকার পাবেন
একজন ব্যক্তি সপ্তাহে এক থেকে দুবার চার থেকে পাঁচটি পাতা পিষে রস করে,
তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারে, নিম পাতা খাওয়ার ফলে যদি কোন সমস্যা
না হয়, তাহলে প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুবার খেতে পারে আর যদি সমস্যা হয়
তাহলে নিম পাতা না খাওয়া ভালো। নিম পাতা ব্যবহার করলে যেমন উপকার
আছে, তেমনি কিছু ক্ষতির দিনও আছে, যা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে।
শেষের কিছু কথা
নিম পাতার ব্যবহার ও কার্যকারিতা সম্পর্কে ইতোমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন, নিমপাতা একটি ঔষধি গাছ যা প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ ব্যবহার করে আসছে, নিম পাতা বিভিন্ন রোগে অ্যান্টিবায়োটিক, নিম পাতার যে গুনাগুন তা বলে শেষ করা যাবে না, আপনারা নিমপাতা ব্যবহার করুন এতে করে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন
গ্রাম বাংলা আইটি ওয়েব সাইট টি পড়ে আপনি নিম পাতা
ব্যবহার ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আশা করি জানতে পেরেছেন, নিমপাতা সেবনের
ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যদি আপনার এই আর্টিকেলটি ভালো
লেগে থাকে, তাহলে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করুন। এতক্ষন
আপনাদে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানায়,
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url