অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও তার প্রতিকার
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ নিয়ে আজ কাল প্রাই ছেলে ও মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুগছেন অতিরিক্ত চুল ঝড়ে পড়ার কারণ ,অনেকেই জানে না, যে কি কারণে তার চুল ঝড়ে পড়ছে, তাহলে জেনে নিন চুল ঝড়ে পড়ার কিছু কারণ ও প্রতিকার নিচে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো, আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়লে, চুল পড়ার কারণ এবং এর থেকে রক্ষা পাওয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।যে কাজ করলে কখনো চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিবে না,তা বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
পেজ সুচি পত্রঃ চুল পড়ার কারণ এবং তার সমাধান নিচে পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা
- কিভাবে বুঝবেন যে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ছে
- মাথায় অতিরিক্ত খুশকি হওয়ার ফলে চুল পড়ে
- শরীরে ভিটামিন( এ, বি, সি, ও ই ) এর অভাবের কারেণ
- অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে, চুল পড়ে যায়
- অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ শরীরে হরমনের সমস্যা
- চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার ও চুলে গরম হিট দেওয়ার ফলে
- এমন কিছু অসুখ আছে যার জন্য অতিরিক্ত চুল ঝড়ে পড়ে
- চুল পড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করুন
- শেষের কিছু কথা
কি ভাবে বুঝবেন আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ছে
আমরা প্রাই সবাই চুলের যত্ন নিয়ে থাকি, তার পরেও আমরা এই চুল পড়া সমস্যায় বেশির ভাগ মানুষ ভুগে থাকি, মানুষের সৌন্দয্যের একটি প্রধাণ ভুমিকা পালন করে মাথার চুল, আমাদের মাথার চুল প্রতিদিনে সাভাবিক ভাবে কিছু কিছু করে উঠে যায় আবার সেই চুল সাভাবিক ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে গজিয়ে উঠে।
(প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টি চুল মাথা থেকে পড়ে এবং গজিয়ে যায়) যদি এই সাভাবিক প্রকিৃয়া থেকে অতিরিক্ত হারে চুল পড়া শুরু হয়, ও গোসলের সময় যদি দেখতে পান আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ছে তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে, এবং আপনারা অনেকেই
বুঝতে পারেন না যে, আমার মাথা থেকে কেন এতো চুল ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন কারণে মানুষের হেয়ার লস হয়, মানুষের অতিরিক্ত টেনশনের কারনেও এই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে চলুন জেনে আসি কি কি সমসার কারণে চুল পড়ে।
মাথার চুলে অতিরিক্ত খুশকি হওয়ার ফলে চুল পড়ে
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ হলো চুলে অতিরিক্ত খুশকি, আমরা সবাই বাহিরে চলাফেরা করি এই চলাফেরা করার সময় অনেক ধুলো বালি ময়লা ও আরো কিছু আমাদের মাথায় এসে পড়ে, এই ধুলো বালি পড়ার কারণে আমাদের চুলের গোড়ায় গোড়ায় আঁঠালো হয়ে যায়, সেই চুলের গোড়াতে চিটচটে ভাব দেখা দেয় এবং এই ধুলো বালির সাথে জীবাণু গুলো চুলের গোড়ায় খুশকির সৃষ্টি করে
এই খুশকি চুলের জন্য ক্ষতিকর, যদি কোনো মানুষের মাথায় অতিরিক্ত খুশকি হয় তাহলে সেই মাাথাতে প্রচুর পরিমাণে চুলকানি শুরু হয়, এই জন্য মানুষ বিভিন্ন ভাবে মাথা চুলকিয়ে মাথার শুক্ষ শুক্ষ চামড়া গুলো তুলে ফেলে সেই চামড়ার সাথে সাথে চুলের গোড়া নরম হতে থাকে এবং তার পরে চুল পড়া শুরু হয়,
আবার এই খুশকির কারণে মাথার চুলে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় এই ব্যাকটেরিয়া গুলো চুলের গোড়ার ভিটামিন গুলোকে নষ্ট করে ফলে মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ে যায়, আবার মাথা ভরা খুশকি নিয়ে গোসল করলে সেই পানি চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছায় না, ও চুলের গোড়ার ময়লা দূর হয় না, ফলে ব্যাকটেরিয়া গুলো চলের স্ক্যালপের ক্ষতি করে তাই অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ে।
শরীরে ভিটামিন ( এ, বি, সি, ও ই )এর অভাবের কারণে
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ হলো মানুষের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার কারণে ভিটামিন ও মিনারেল্সর ঘড়তি দেখা দেখা দেয়, চুলের গোড়াকে পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে ভিটামিন সি, শরীরে যখন ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তখন মানুষের চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়, মানুষের এই ভিটামিন এর ঘাড়তি মেটানোর জন্য
সব সময় ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে, শরীরে যে গুলো ভিটামিন এর অভাবে চুল ঝড়ে পরে তা হলো ( এ, বি, সি, ডি, ও ই ) শরীরে এগুলো ভিটামিনের ঘাড়তি দেখা দিলে চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়, সবচেয়ে বেশি (ভিটামিন সি) এর অভাব যখন শরীরে হয়, তখন চুলের গোড়ায় পুষ্টির অভাব হয়, ভিটামিন সি, চুলের গোড়াকে সুষম পুষ্টি দিয়ে থাকে
যখন ভিটামিন সি, এর অভাব পড়ে তখন চুলের গোড়া নরম হয়, চুলের গোড়ায় ভিটামিন এর ভাগ কম হতে থাকলে গোড়া থেকে সেই চুল উঠে যায় বা ভেঙ্গে যায়, যদি আপনাদের মধ্যে কারো মাথা দিয়ে সব সময় গরম বা শিস ওঠে তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা থেকেই যাবে এবং আস্তে আস্তে সেই মাথায় টাক পড়ে যাবে
মাথা দিয়ে শিস ওটা থেকে মুক্তি লাভের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং নিয়মিত মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করুন মাথার চুলে সরিষার তেলের যে গুণ তা ভিটামিন সি ভিটামিন ডি এর মতো অনেক ভিটামিনের অভাব আস্তে আস্তে পূর্ণ করে, এতে মাথার চুলের জন্য অনেক উপকারী, সরিষার তেল চলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে
প্রতিদিন মানুষের প্রায় ( ৮০ থেকে ১০০টি ) চুল মাথা থেকে ঝড়ে পড়ে, এটা হলো সাভাবিক, এবং এই চুল আবার প্রাকুতিক নিয়মে গজায়, এর থেকে বেশি চুল পড়া দেখলে ও সেই পরিমাণ চুল না গজালে বুঝতে হবে আমাদের চুল পড়ার সমস্যা হয়েছে, চুলের গোড়ার পুষ্টি ঘাটতি হয়ে গেলে মাথা থেকে চুল ঝরতে থাকবে এবং আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করতে হব।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে চুল পড়ে যায়
আমাদের শরীরের নানান ধরনের রোগ ব্যাধি কে ভালো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে থাকি এর মধ্যে এমন কিছু রোগ আছে যার জন্য আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত ঔষধ সেবন করতে হয় এই ঔষধ সেবনের ফলে আমাদের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ থেকে আমরা মুক্তি লাভ করি
এবং বিভিন্ন ঔষধ এর মাধ্যমে রোগ মুক্ত হই এই অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকার অপরদিকে কিছুটা হলেও ক্ষতির দিক আছে মানুষের শরীরে কোন কিছুই অতিরিক্ত হলে তা ক্ষতির দিকে চলে যায়,যেমন এই অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত ঔষধ, ছেলে এবং মেয়েদের কোন বড় এক্সিডেন্ট বা কাটা পোড়া ইত্যাদি
সমস্যা হলে মানুষ ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক সাথে নানান ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকে। এতে আমাদের রোগ থেকে মুক্তি লাভ হয়, কিন্তু শরীরের ভেতরে এই অ্যান্টিবায়োটিক আস্তে আস্তে শরীরের ক্ষতির কারে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হলো মানুষের মাথা দিয়ে গরম বা শিস ওঠা
একটি সমস্যা এই সমস্যাটি হয় অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের ফলে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে মানুষ নানান ধরনের সমস্যায় পড়েন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাথা ঘোরা চোখে ঝাপসা দেখা মাথা দিয়ে শীষ ওঠা হাত-পা ঝিনঝিন করা শরীর সুখে যায় শরীরে ওজন কমতে থাকে ইত্যাদি
যদি কোন মানুষের মাথা দিয়ে গরম বা শিস ওঠে তাহলে সেই মানুষের সবচেয়ে বেশি চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় মানুষ বুঝতে পারে না,, যে কেন তার মাথা সব সময় গরম থাকে এর জন্য মানুষের মাথা থেকে চুল গুলো উঠে যায়, মানুষের মাথার চুলে ভিটামিন সি থাকে
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ শরীরে হরমনের সমস্যা
মানুষের শরীরে যদি হরমোনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে মানুষের শরীরের অনেক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়, এই হরমোনাল সমস্যার জন্য মানুষের গ্রথে বাঁধা পড়ে অনেক সময় বিভিন্ন স্থানের লোম বড় হয়ে যায় আবার এই হরমোনের সমস্যার কারণেই মানুষের মাথার চুল পড়ার সমস্যাটি আস্তে আস্তে বেড়ে যায়।
প্রেগনেন্সি হরমোন সাধারণত একটি নারী যখন প্রেগন্যান্ট থাকে তখন তার শরীরে প্রচুর পরিমাণে হরমনে প্রয়োজন, প্রেগণের সময় মেয়েদের হরমোনাল সমস্যার কারণে মেয়েদের চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়। প্রেগনেন্সি ১.৫ থেকে ২ মাসের মধ্যে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ এক্সোসিভ হেয়ার ফল হয়
ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টনের লেভেলের পরিবর্তনের কারণে মেয়েদের এই চুল পড়ার সমস্যা বেশি হয় ও সন্তান হবার পরে হেয়ার লস আরো বেশি হয়। থাইরয়েড হরমোন মানুষের যদি এর ঘাটতি হয় তাহলে থাইরয়েডিজমের কারণে মানুষের চুল পড়ে যায় বা হেয়ার লস হয় এই থাইরয়েড হরমোন ইন বেলেন্সের কারনে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম অ্যাটাক করে
ফলে হেয়ার ফলিকলের প্রভাব বিস্তার করে এইজন্য চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় তার জন্য চুলের গোড়া নরম হতে থাকে তারপর আস্তে আস্তে চুলগুলো উঠে যায়,,গোসলের সময় বা হাত দিয়ে টান দিলেও এই সমস্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হেয়ার লস হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়তে থাকে।
চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার ও চুলে গরম হিট দেওয়ার ফলে
আমাদের সকলের কাছে আমাদের নিজেদের চুল অনেক প্রিয়, তাই চুল নিয়ে কবিও ১টি লাইন কবিতা আমাদের বরেছেন, চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নেশা, এই চুল নিয়ে আমরা অনেক শখ পুরণ করি, এবং চুলকে সুন্দর করতে আমরা নানান ধরনের কেমিক্যার রং হেয়ার স্টাইল করে থাকি,
কিন্ত আমরা এটা জানি না যে, এই কেমিক্যাল ব্যবহার করার ফলে আমাদের মাথার চুলের সমস্যা হয়, এই কেমিক্যার রিয়্যাকশনের কারণে আমাদের এই সুন্দর চুল অকালে হারিয়ে থাকি, কিন্ত আমরা কেউ বুঝিনা যে, বাজারে পাওয়া কিছু প্রডাক্ট আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ আমাদের মাথার চুল আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেরছি
আমাদের মদ্ধে অনেক ছেলে ও মেয়ে আছে যারা পার্লারে গিয়ে হিট মেশিনের মাধ্যমে চুলে হিট দিয়ে থাকে চুলকে স্থায়ী ভাবে সোজা রাখার জন্য বা স্টাইল করে রাখার জন্য চুলে মেশিনের মাধ্যমে হিট দিলে চুলের প্রাকৃতিক পুষ্টি কমতে থাকে এই হিট দেওয়ার ফলে চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টি পৌঁছায় না রক্ত চলাচল বন্ধ হতে থাকে
ফলে চুলের ফলিকলে মারাত্মক ক্ষতি হয়, চুলকে সোজা রাখার জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে হিট দেয় তার জন্য স্ট্রেইট স্কেলসে ক্ষতি হয়, চুলের স্ক্যাল্পের ফলিকল গুলো কমে যায় এবং কমে যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত হারে হেয়ার লস হয়।
এমন কিছু অসুখ আছে যার জন্য অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ে
মানুষের মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ার প্রধান কারণ হলো অসুস্থতা তাহলে জেনে নিন কি কি অসুখের কারণে মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ে। যে যে অসুখের কারণে চুল ঝরে পড়ে তাহলে টাইফয়েড জন্ডিস ম্যালেরিয়া ডায়াবেটিস কেমোথেরাপি এবং বড় কোন অপারেশন বা অস্ত্র পাচারের ফলে
ও যদি মাথায় ঘাঁ হয়,, এই টাইফয়েড রোগ খুব মারাত্মক একটি রোগ মানুষের টাইফয়েড হলে মানুষের শরীরে প্রচন্ড জ্বর হয় মাথাব্যথা ও শরীর প্রচন্ড ব্যথা করে শারীরিক দুর্বলতা ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য ভূমি বিভাগ ইত্যাদি, এই টাইফয়েডের কারণে মাথা থেকে অতিরিক্ত হারে চুল পড়ে যায়, আবার মানুষের যদি জন্ডিস হয়
তাহলে পুরো শরীর হলুদের মতো হয়ে যায় চোখগুলো বড় বড় হয় চোখের ভেতরে হলুদ আকার বন্য হয় এর ফলে আমরা যে ওষুধ সেবন করি তার সাইড ইফেক্ট হিসেবে আমাদের মাথা থেকে চুল ঝরে পড়ে ম্যালেরিয়া,,। ম্যালেরিয়া একটি মশা বাহিত সংক্রমণ রোগ যার মূলে রয়েছে প্লাজমোডিয়া গোত্রের প্রটিস্টা
এই ম্যালেরিয়া রোগের কারণে মানুষের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হয় ভিটামিন সি চুলের জন্য খুব উপকার আসে রোগ এই রোগ গুলো ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় ভিটামিন সি চুলের গোড়াকে শক্ত করে ধরে রাখে এই ভিটামিন সি এর ঘাটতির কারণে অতিরিক্ত হলে চুল পড়ে যায়।
চুল পড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন কি কি কারনে চুল পড়ে যায় হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন, কি কি উপায়ে চুল পড়া থেকে রক্ষা পাবেন তা বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব, আশা করি আপনিও যদি সে অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে
চুলের সরিষার তেল ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২থেকে ৩ বার সরিষার তেলে যে গুনাগুন আছে তা চুলের জন্য অত্যন্ত ভালো সরিষার তেল মাথায় ব্যবহারের ফলে মাথার চুলের ক্যাল্পের উন্নতি করে যার জন্য চুলের গোড়া মজবুত হয়,, সেই সঙ্গে আপনারা নারী পুরুষ সবাই প্রতি রাতে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাবেন এই ই ক্যাপ ক্যাপসুলে ভিটামিন সি বিদ্যমান আছে যা চুল পড়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
পুরুষ- চুল পড়া অবস্থায় কখনো চুল বড় রাখবেন না খুশকি নাশক শ্যাম্পু প্রতি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করবেন, খুশকি নাশক শ্যাম্পু এই শ্যাম্পু কোন সাধারণ শ্যাম্পু নয় এটি আপনারা ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করবেন ফার্মেসিতে বললে আপনাকে এই খুশকী নাশক শ্যাম্পুটা দিয়ে দিবে সেই শ্যাম্পুঁটি প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করবেন শ্যামপুর নাম(সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু)।
অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন রকমের শ্যাম্পু ব্যবহার করেন এগুলো থেকে বিরত থাকবেন চলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে ২ বার মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে চুলের ক্যালপের সমস্যা হয় তাই অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এতে আপনার চুলের জন্য ভালো হবে।
নারী--চুল পড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুইবার খুশকি নাশক বা ড্যানড্রোভ নাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন গোসলের পর ভেজা চুল তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখবেন না গোসলের পর চুলকে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন চুল শুকানোর জন্য কোন হিট মেশিন ব্যবহার করবেন না এতে করে চলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দেয় অচল দুর্বল হয়ে যায়
মাথায় সরিষার তেল ব্যবহারের অভ্যাস করুন সপ্তাহে দুবার অথবা একবার সরিষা তেল মাথায় ব্যবহার করুন সরিষার তেলে ভিটামিন সি ইত্যাদি গুনাগুন আছে যা চুলের জন্য অত্যন্ত ভালো ও পুষ্টিকর যা চুলেরস ক্যাল্পের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে মাথায় যেন ধুলোবালি না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন ধুলোবালিতে থাকা রোগ জীবাণু চুলের জন্য ক্ষতিকর, এর থেকে সাবধানে থাকুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করুন
অল্প বয়সে আপনাদের যাদের অতিরিক্ত হারে চুল পড়ছে এই চুল পড়া থেকে রক্ষা পেতে ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করুন এতে করে আপনার চুলকে যেমন সুরক্ষিত ভালো রাখবে তেমনি করে চুলের কোন ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না চলুন জেনে আসি প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করা যায় নিচে তার বর্ণনা করা হলো।
এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে রাখবেন এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিবেন এতে করে আপনার চুল পড়ার সমস্যা আস্তে আস্তে সমাধান হতে থাকবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই পেঁয়াজের রস,, পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ার সমস্ত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
নিম পাতা ও ত্যালাকুচার পাতা ব্যবহার করেঃ চুল পড়া সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার সবচাইতে বড় উপায় হল নিম পাতা ও তেলাকচার পাতা, নিমপাতা গাছ আমাদের আশেপাশে প্রায় দেখা যায় এবং তেলাকচার পাতা জঙ্গলে লতারের মধ্যে এবং অনেক অনেক গাছের সঙ্গে পিছিয়ে থাকে এই তেলাকচার পাতা নিম পাতাও তেলাপোচার পাতা
একসঙ্গে ভালোভাবে ধুয়ে পালিশ করে পিষে মাথায় সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এবং দেখবেন যাতে ভালোভাবে চুলের গোড়ায় এই পালিশকৃত নিমত তেলাকুচার পাতা ভালোভাবে যেন পৌছায়, নিম পাতা ও তেলাকুচার পাতায় যে গুনাগুন আছে তা চুল পড়া থেকে রক্ষা করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
চুলে মেহেদী পাতা ব্যবহার করেঃ মেহেদী পাতা চুলের জন্য একটি অত্যান্ত কার্যকারী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ যা চুলে ব্যবহারের ফলে তুলে যেমন পুষ্টি যোগায় তেমনি করে রুক্ষ সূক্ষ্ম চুলগুলো মসৃণ করতে সাহায্য করে মেহেদী পাতা এই মেহেদী পাতা চুলে ব্যবহারের ফলে চুল অতিরিক্ত কালো ও সুন্দর হয় যদি কারো অল্প বয়সে
চুল পাকার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রতি সপ্তাহে ৩ বার চুলে মেহেদি পাতা ভালোভাবে পিষে তুলে লাগান তাহলে পাকা চুলের হাত থেকে অল্প বয়সে রক্ষা পাবেন। চুল পড়া বন্ধের জন্য মেহেদি পাতার গুনাগুন অপরিসীম মেহেদী পাতা চুলে লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় মেহেদী পাতাতে অনেক গুনাগুন আছে যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় প্রাকৃতিকভাবে চুলকে পুষ্টি দেয়
এবং চুলের গোড়া শক্ত হয় এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। নতুন চুল গজানোর জন্য এই মেহেদী পাতা বিশেষভাবে সাহায্য করে তাই নতুন চুল গজানোর জন্য এবং চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মেহেদি পাতা ভালোভাবে চুলে লাগান তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
শেষের কিছু কথা
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ গুলো আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি কি কারনে চুল ঝরে পড়ে তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন যদি আপনি সাবধানে চুলের যত্ন নেন এবং প্রাকৃতিকভাবে চুলের পরিচর্যা করেন তাহলে আপনার মূল্যবান চুল কখনো আর হারাবেন না উপরে যে কয়টি সমাধানের কথা বলেছিসেগুলো যদি মেনে চলেন তাহলে আশা করি চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিলে চুল কখনো ঝরে পড়বে না আপনাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে যদি আমার এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনাদের চুল পড়ার বিন্দুমাত্র সমস্যাটি সমাধান হয় তাহলে থেকে বেশি খুশি হব
আমরা কারণ আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে এটার জন্য,, আপনাদেরকে এই ওয়েবসাইটে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করা হলো এই ওয়েবসাইটে নতুন এবং আপডেট সব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url