ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় - যে পদক্ষেপ গ্রহন করলে ব্যবসায় সফলতা পাবেন
পেজ সুচিপত্রঃ ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় - যে পদক্ষেপ গ্রহন করলে ব্যবসায় সফলতা আসবে, তা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
- কি ব্যবসা করবেন সেটি ঠিক করা
- পরিকল্পনা করা
- মার্কেট অ্যানালাইসিস করা
- ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মীদের সাথে আলোচনা করা
- ব্যবসার জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা
- ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করা
- প্রযুক্তি বা টেকনোলজি ব্যবহার করা
- প্রতিটি জিনিসের হিসার রাখা ও রেকর্ড করা
- যোগাযোগ অটুট রাখা
- সর্বোচ্চ কাস্টমার সেবা নিশ্চিত করা
- অ্যাডভাটাইজমেন্ট করা
- শেষের কিছু কথা
কি ব্যবসা করবেন সেটি ঠিক করা
আপনি কি ব্যবসা করবেন সেটি ঠিক করা হলো সব থেকে বড় এবং বুদ্ধি মানের বিষয়, কেন না আপনি যদি প্রথমে ঠিক না করেন, আপনি কি ব্যবসা করবেন তাহলে আপনি কোনো ব্যবসা শুরুই করতে পারবেন না, আপনাকে আগে চিন্তা করতে হবে যে আপনি কি বিষয় নিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করবেন,
ব্যবসার ক্যাটাগরি ঠিক করে রাখতে হবে তার পরে সেই ব্যবসার সংক্রান্ত সকল কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, সেই ব্যবসা কোন কোন যায়গাতে আছে কি রকম সেল হয়, মার্কেটে সেই ব্যবসার কেমন চাহিদা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভালোভাবে জানতে হবে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি সেই ব্যবসায় আপনার কতটা প্রবাব বিস্তার লাভ করবে,
যদি দেখেন এই ব্যবসার প্রতিদন্দী বেশি আপনি তাদের সাথে সেই ব্যবসা করে মার্কেটে টিকতে পারবেন না তাহলে আপনাকে সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হবে, এবং আপনাকে অন্য কোনো ব্যবসা বাছায় করতে হবে, যার চাহিদা বাজারে বেশি এবং প্রতিদন্দী কম সেই রকম ব্যবসা ভাবতে হবে তাহলে আপনি ব্যবসা করে, সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
পরিকল্পনা করা
পরিকল্পনা করা ব্যবসায় সফলতা আসার সবচেয়ে বড় ও মন্ত্র হলো ব্যবসা নিয়ে পরিকল্পনা করা, এই পরিকল্পনা ব্যতিত আপনি কোনো ব্যবসায় সফলতার মুখ দেখতে পাবেন না, ব্যবসা করা আগে আপনাকে সেই ব্যবসার পরিকল্পনা করতে হবে, পকিল্পনা হিন ব্যবসা পথ হারা পথিকের সমান, যেমন পথ হারা পথিকের কোনো লক্ষ নেই যে, সে কোন স্থানে যাবে
তেমনি পরিকল্পনা ছাড়া ব্যবসা করলে সেই ব্যবসার ভবিষৎ কি হবে তা বলা কঠিন। কোনো মানুষ যদি কোনো ব্যবসা করতে চাই তাহলে তাকে অনেক আগে থেকে সেই ব্যবসা সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে, তাকে ভাবতে হবে কি ব্যবসা করলে আমি উন্নতি করতে পারবো, এবং স্থান নির্বাচন করতে হবে,
কোন স্থানে সেই ব্যবসা শুরু করলে ব্যবসার ব্যবসার সেল বাড়বে, এমন কোনো স্থান নির্বাচন করা যাবে না যেখানে মানুষের চলাচর কম, যেখানে মানুষের চলাচল যত বেশি সেখানে ব্যবসার উন্নতি ও বেশি, তাই ব্যবসার করার আগে আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে যে, কিভাবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাড় করাবো,
কত টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু কররে ব্যবসা ভালো ভাবে আস্তে আস্থে বড় করতে পারবো, কত জন লোক আপনার প্রয়োজন, এগুলো সব আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হবে, তাহলে আপনি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাই ব্যবসা করার আগে সেই ব্যবসা নিয়ে পরিকল্পনা করুন সফরতা অর্জন করতে পারবেন।
মার্কেট অ্যানালাইসিস করা
মার্কেট অ্যানালাইসিস করা সব চাইতে জরুরি একটি বিষয় ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রথমে মার্কেট জাস্টিফাই করতে হবে যে মার্কেটে কি কি ধরনের প্রোডাক্ট ও কোন কোন পণ্য বেশি চলছে এবং মানুষের চাহিদা কোন কোন প্রোডাক্ট এর উপর চাহিদা আছে সেইগুলো অ্যানালাইসিস করে বের করতে হবে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন
কোন প্রোডাক্টগুলো নিয়ে কাজ করলে আপনি মার্কেটে দাপটের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন, যদি আপনি মার্কেট অ্যানালাইসিস না করেই ব্যবসা করতে শুরু করেন তাহলে আপনি মার্কেটে অন্যদের মতো প্রাধান্য পাবেন না, আপনার প্রোডাক্ট সেই রকম মানুষের কাছে মূল্য পাবে না এর জন্য আপনাকে মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে হবে।
এর ফলে বুঝতে পারবেন কোন বিষয় নিয়ে এগোলে মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন, আপনি যদি পরিকল্পনা না করে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে সেই ব্যবসায় সফলতা পেতে আপনার অনেক সময় লেগে যাবে, সেই সময় আপনার প্রতিদ্বন্দ্বি আপনার থেকে অনেক এগিয়ে চলে যাবে তখন আপনি পেছনে পড়ে যাবেন,
তাই আপনি যে ব্যবসা করুন না কেন মার্কেট অ্যানালাইসিস করে তারপরে সেই ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন কি কি উপায় অবলম্বন করলে আপনি আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটে বেশি পরিমাণে বাজার জাত করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা ব্যবসা করবেন প্রথমেই মার্কেট অ্যানালাইসিস করে নিবেন তাহলে ব্যবসায় অতি সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
ব্যবসার সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মীদের সাথে আলোচনা করা
ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় কর্মীদের সাথে আলোচনা করা হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফলতার একটি ধাপ যে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানের ভাল মন্দ সমস্ত কিছু আলোচনা করে সঠিক গাইডলাইন এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একজন বুদ্ধিমান ব্যবসায়ীর কাজ
একটি প্রতিষ্ঠানে কি কি সমস্যা আছে সে প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংগঠন সবচাইতে বেশি ভালো জানবে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের উচিত সর্বনিম্ন তিন থেকে চার মাস পর পর এই কর্মী সংগঠন মিটিং আয়োজন করার,, এর ফলে প্রতিষ্ঠানের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা যায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোন সিদ্ধান্ত একা নেওয়া উচিত নয়
সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাথে জড়িত সকল কর্মীদের পরামর্শে একসঙ্গে কাজ করলে সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জন করা খুব সহজ, একটি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে পরিচালনা করতে হলে প্রতিষ্ঠানের ভাল কর্মের প্রয়োজন এই ভালো কর্মীগুলো প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য সর্বদা কাজ করে থাকে তাই তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
ব্যবসার জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা
তাহলে আপনি সেই বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে পারবেন না, আর যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয় উত্তর দিতে পারবেন, তাই বলছি, আপনি যে বিষয় নিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, আপনাকে সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে, তাহলে আপনি আপনার জিনিস গুলো ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে পারবেন,
এতে করে আপনার প্রডাক্ট সম্পর্কে ধারণা হবে, আর আপনি এটাও বুঝতে পারবেন যে কি পদক্ষেপ গ্রহন করলে আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে এবং অতি তাড়াতাড়ি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন, তাই বলছি যে ব্যবসায় করুন না কেন সেই ব্যবসা সকল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করা
ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করা হলো ব্যবসার উন্নতি হওয়ার অন্যতম দিক কোন ব্যবসার যদি ব্র্যান্ড ভ্যালু না থাকে তাহলে মানুষের কাছে সেই জিনিসের প্রাধান্য থাকে না যদি কোন ব্যবসার ব্যান্ড ভ্যালু ভালো থাকে তাহলে মানুষের কাছে সেই জিনিসের বা সেই কোম্পানির জিনিসের প্রতি উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা আগ্রহ বেশি থাকে
এবং মানুষ সেই জিনিসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে তাহলে যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিকে নজর দিতে হবে আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করাতে হবে তাহলে মানুষ আপনার কোম্পানির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবে এতে করে আপনার প্রচুর পরিমাণে সেল বাড়বে
মানুষের বিশ্বাসের জায়গা হবে বাংলাদেশ ব্যান্ড ভ্যালুকে প্রাধান্য দেয় বেশি যে কোম্পানির ব্র্যান্ড সবার মুখে মুখে সেই কোম্পানির জিনিস বা প্রোডাক্ট মানুষ বেশি কিনে থাকে আপনিও যদি আপনার কোম্পানির বা আপনার ব্যবসার উন্নতি বা প্রসারিত বেশি করে বাড়াতে চান তাহলে ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করুন
প্রযুক্তি বা টেকনোলজি ব্যবহার করা
প্রযুক্তি বা টেকনোলজির ব্যবহার করা ব্যবসার জন্য অনেক সুখময় বয়ে আনে আপনি যেকোনো ব্যবসায়ী করুন না কেন সেই ব্যবসায়ী প্রযুক্তি বা টেকনোলজির ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন প্রযুক্তি বা টেকনোলজির দ্বারা আপনি ব্যবসার সমস্ত কিছু কন্ট্রোল করতে পারবেন,
অনেক বছর ধরে মানুষের জীবনে যে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে যার পূর্বে সারা বিশ্ব আজ বৈশ্বিক গ্রাম থেকে উন্নতির উচ্চ শিখরে চলে এসেছে তার মদ্ধে রয়েছে এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আজ থেকে 20 থেকে 30 বছর আগে এতটা পরিবর্তন হবে মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ই -বিজনেস ই কমার্স চালু হয়েছে
এতে করে ব্যবসার খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে, এই তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে ব্যবসার সমস্ত কিছু হিসাব নিকাশ অফিস মেইনটেন সমস্ত কাজ এখন টেকনোলজির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো অটুট হচ্ছে এবং এই টেকনোলজির মাধ্যমে অনলাইনে বিজনেস করা খুব সহজ হয়ে উঠেছে।
প্রতিটি জিনিসের হিসাব রাখা ও রেকর্ড করা
ব্যবসায়িক সমস্ত খুঁটিনাটি হিসাব না করে বা রেকর্ড না রাখে তাহলে সে বুঝতে পারবে না, তার ব্যবসার লাভ বা লোকসান হচ্ছে কিনা, একজন পেশাদার ব্যবসায়ী প্রথম ধাপ হলো ব্যক্তিগত খরচ ও ব্যবসায়িক খরচ আলাদা করা, ব্যবসার জন্য যে টাকা আপনি বিনিয়োগ করেছেন সেটা ব্যবসা জন্য, সেটি ব্যবসায়ীক ব্যয়
একইভাবে আপনার ব্যক্তিগত খরচ আপনার এখন নিজের টা নিজেকে হিসাব রাখতে হবে, ব্যবসা খাত থেকে ব্যক্তিগত খরচের জন্য কোন টাকা ব্যয় করা যাবে না, ব্যবসায় নির্ভুল আয় ব্যয়ের হিসাব তখনই পাবেন যখন নিজের খরচ ব্যবসায়িক খরচ আলাদা করে রেকর্ড রাখবেন, ব্যবসায়িক কাজে টাকা লেনদেনের জন্য আলাদা করে একটি ব্যবসায়িক একাউন্ট তৈরি করুন
এই ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখার জন্য ই-কমার্স ই বিজনেস ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহার করে হিসাব রাখতে পারেন এতে করে সঠিক এবং নির্ভুল আয় ব্যয়ের হিসাব পেয়ে যাবেন, তাতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে তাই সবাইকেই বলছি ব্যবসার সমস্ত কিছুর হিসাব রাখুন এবং সেই হিসাবগুলো রেকর্ড করুন তাহলে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যোগাযোগ অটুট রাখা
যোগাযোগ অটো রাখা ব্যবসা সফল হওয়ার প্রধান এবং বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্যবসার সমস্ত কিছুর জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যোগাযোগ রাখা ততটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে কোন ব্যবসায় করেন না কেন সেই ব্যবসার যোগাযোগ যত অটুট থাকবে সেই ব্যবসার প্রসার তত বেশি হবে।
ব্যবসা করে যদি আপনি যোগাযোগ স্থাপন না করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট বাজারজাত করতে পারবেন না, গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন এবং তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা জিনিসগুলো বাজারজাত করুন এতে করে আপনার প্রতিষ্ঠানের জিনিসগুলো একদিকে সেল হবে
ও যোগাযোগ রাখার জন্য সেই গ্রাহকের আপনার প্রতি ভরসার স্থানটি আরো শক্ত ও মজবুত হবে, যোগাযোগ রাখার জন্য সবচাইতে সহজ উপায় হল টেকনোলজি ব্যবহার করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদেরকে সেই সুযোগটি করে দিয়েছে সবার সঙ্গে কমিউনিকেশন করার জন্য এই যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জল হবে।
সর্বোচ্চ কাস্টমার সেবা নিশ্চিত করা
ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় হল সর্বোচ্চ কাস্টমার সেবা নিশ্চিত করা, যে ব্যবসায় কাস্টমার সার্ভিস ভালো হবে সে ব্যবসা ততো উন্নতি লাভ করবে, তার জন্য কর্ম চারিদের বিনয়ী হতে হবে, যদি কোন ব্যবসায় কাস্টমার সার্ভিস ভালো না হয় তাহলে সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষ যেতে অনীহা প্রকাশ করবে এতে করে ব্যবসার সেল কমে যাবে,
যদি ব্যবসার সেল বা কেনাকাটা কমে যায় তাহলে সেই ব্যবসা লোকসানের সম্মুখীন হয় এই লোকসান থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ কাস্টমার সার্ভিস সেবা প্রদান করতে হবে কোন কাস্টমার প্রতিষ্ঠানে এসে অসম্মানীতে যেন না হয়, হোক না সে ছোট কাস্টমার অথবা বড় কাস্টমার,
একটি প্রবাদ বাক্য আছে যে ব্যবসায় কাস্টমার লক্ষী দোকানদার পেঁচা, এই কথাটি থেকে একটি কথা বোঝা যায় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীকে বিনয়ের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে, গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে, ্এবং গ্রাহকদের গুরুত্ব দিতে হবে, তাদের কে বোঝাতে হবে যে কাস্টামারের সেবার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে,
অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করা
অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করা হল ব্যবসার পরিচিতি লাভ অর্জন করা, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন তারা ভাবছেন কিভাবে এই ব্যবসাটিকে প্রসারিত করা যায়, ব্যবসা বড় করার জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার সম্পর্কে মানুষ যানতে পারবে
যত বেশি জানতে পারবে তত আপনার ব্যবসার প্রচার ও প্রসার বাড়বে, কিভাবে আপনারা ব্যবসাকে অ্যাডভারটাইজমেন্ট এর মাধ্যমে বড় করবেন চলুন জেনে নিই,, আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে সাইনবোর্ড তৈরি করুন এর মাধ্যমে অনেক লোক আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে, ব্যবসার পরিচিতি লাভ করবে
আরো পরিচিতি লাভের জন্য লিফলেট বা পোস্টার ছেপে বিলি করে দিন এবং কিছু হাটে ঘাটে গলির মাথায় তিন রাস্তা বা চার রাস্তার মোড়ে লাগিয়ে দিন এতে করে আপনার প্রতিষ্ঠানের কথা মানুষ জানতে পারবে, ব্যবসার পরিচিতি লাভের জন্য বাৎসরিক ক্যালেন্ডার তৈরি করুন এই ক্যালেন্ডার মানুষের মাঝে দিয়ে দিন
তাহলে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষ দৃঢ়ভাবে জানতে পারবে, আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কাস্টমারের আগ্রহ বাড়াতে প্রতিষ্ঠানের নামে ছাতা তৈরি করে কাস্টমারদের উপহার দিন এতে করে আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি আরো বেড়ে যাবে, আর যত পরিচিতি বাড়বে তত কাস্টমার আপনার প্রতিষ্ঠানে এসে লেনদেন করবে এতে করে আপনার ব্যবসা অতি তাড়াতাড়ি প্রসারিত হতে থাকবে,
শেষের কিছু কথা
ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় ও যে পদক্ষে গ্রহণ করলে ব্যবসায় সফলতা আসবে তা আপনাদের উপরে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে আপনারা যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করবেন, চাকুরির পিছনে না ছুটে নিজে উদ্যোক্তা হন এতে করে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হতে পারবেন
তেমনি করে আপনার প্রতিষ্ঠানে মানুষকে চাকরি দিয়ে তাদেরকেও স্বাবলম্বী করতে পারবেন ব্যবসা একটি হালাল অথবা উপার্জনের পথ। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আমাদের লিখাটি সার্থক হবে, আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দেবেন। এতক্ষণ গ্রামবাংলা আইটির সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url